স্বদেশ ডেস্ক: বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভালোভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৯টার পরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ সময় ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করতে বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বহিরাগত সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা পৌরসভায় প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল আরো অভিযোগ করে বলেন, অনেক কেন্দ্রেই ইতোমধ্যে আমার এজেন্টদেরকে বের করে দিয়েছে। ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের এজেন্ট তালিকা ছিড়ে ফেলে ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ভোট কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট দিতে দেয়নি নৌকার সমর্থকরা।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও ইতোমধ্যে দেখা গেছে বামনা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার গোলদার, সাধারণ সম্পাদক জনী ও ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোট কারচুপি করার জন্য প্রবেশ করেছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তারা। এদিকে এসব বহিরাগতরা ভোট কেন্দ্র এলাকায় প্রবেশ দেখে ভোটাররা ভোটের লাইন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার আব্দুল বারেক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম। অনেক পোলাপান ভোট কেন্দ্রের সামনে আমাকে দেখে বলে নৌকায় ভোট না দিলে হাত পা গুড়িয়ে দেব। তাই আমি ভোট না দিয়ে আমার জীবন রক্ষার জন্য ভোট কেন্দ্র থেকে পালিয়ে এসেছি।’
বহিরাগত বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পাথরঘাটা পৌরসভায় প্রবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচন দেখতে এসেছি। আমার সাথে যুবলীগ সভাপতি, ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও রয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, পৌর এলাকায় আমাদের ছয়টি চেকপোস্ট রয়েছে তারা কিভাবে প্রবেশ করেছে আমি বলতে পারি না।
বহিরাগত নেতাকর্মীদের প্রবেশ বিষয় পাথরঘাটা পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও সাবরিনা সুলতানা নয়া দিগন্তকে বলেন, বহিরাগত কোনো লোক পৌর এলাকায় ঢুকতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।